2.
নিউ ইয়র্ক এর কিছু জায়গা আছে - যা বিভিন্ন কমিউনিটি দিয়ে অধ্যুষিত।
জ্যাক্সন হাইটস এ গেলে বোঝার উপায় নাই, এটা আমেরিকার একটি অংশ। বাংলা অক্ষরে দোকানের নাম থেকে শুরু করে - দরজার উপর ভোটাভোটির পোস্টার; এমনকি জুমা'র খুতবা দিচ্ছে বাংলায়! দোকানে পাওয়া যাচ্ছে সাতকরা আর জাম্বুরা।
চার্চ এভেনিউতে চায়না টাউন। সবকিছু চাইনিজ। গ্রসারি সপে পাওয়া যায় কচ্ছপ আর স্কুইড। অবশ্য চায়না টাউন একটা ইউনিভার্সাল কনসেপ্ট। সব দেশেই থাকে। ব্রুকলিন এ 78th street - আরব স্ট্রিট। ওখানে গেলে রাস্তা ঘাটে আরবী ভাষায় কনভার্সেশন শোনা যাচ্ছে। কাউকে দেখেই বোঝা যায় আরব, আর কেও পুরাই পশ্চিমা বেশে। দোকানে বাকলাভা আর পনিরের বাহার, আতর, বোরখা...
আরব স্ট্রিটের এক দোকানে আমি আর আব্বা (শশুর-আব্বা) গিয়েছিলাম। দোকানদার ২ জনই মহিলা। ২জনই কালো বোরখা পড়া। একজনের চেহারা নিকাব দিয়ে ঢাকা। যেই জিনিসটা আমরা নিব - নিকাবী ভদ্রমহিলা সেটার দাম ৫ ডলার কম বলল। হিসাবে ভুলের কথা তুললে, সে বলল, 'That's because you wear the niqab'. মনটা অজান্তেই এত ভালো হয়ে গেল - বলার মত না। মনে হলো এইত আমরা একই গ্যাং এর ! এখানে শেষ না - যখন চেঞ্জ ফেরত দিল - ১০ ডলার বেশি ফেরত দিল। বলল, 'This is for you, sweetheart'!!
কি বলব বুঝে পেলাম না - ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া। জিগ্যেস করলো - 'Is that your father?' আমি বললাম, 'Father-in-law'. আব্বা তখন আবার বললেন, 'I have only one son'. মহিলা সাথে সাথে উত্তর দিল, 'Masha Allah. And I pray you have 7 grandsons'!
হাসি খুব কষ্টে আটকে রাখলাম। কারণ জানতাম, আরবদের কাছে এটাই বড় দু'আ।
ভাষা শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম মিশরীও অরিজিন। ঠিক ওই সময়টাতে মিশরে চলছিল ধর্মীয় লোকদের নিধন অভিযান। সেই মানুষগুলোর সাথে রিলেট করতে সময় লাগলনা। আল্লাহ যেন এসব পরিষ্কার মনের মানুষগুলোকে রাহম করেন।
কস্টকো-র ঘটনা যেই খারাপ স্ট্যাম্প মাথায় ছিল - ওটা কিছুটা হলেও হালকা হলো।
[contd..]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন