রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১০

গুলশানের রাস্তায়..

একজনের সাথে আরেকজন পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছে, কোত্থেকে গাদা ফুলের শুকিয়ে যাওয়া মালা যোগাড় করেছে কেজানে??!! একজনের গলায়, আরেকজনের মাথার উপর- চিকন সুতোয় শুকনো গাঁদা ফুলগুলো ঝুলে আছে। দৌড়ের গতিতে একটা-দু’টো ফুল ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে রাস্তার উপর। দু’জনই বেশ উৎফুল্ল হয়ে হাজির হলো আমার পাশের রিকশায় বসা দু’জন শেতাঙ্গ বিদেশীর কাছে।

“বস, খানা লাগবে। থোড়া টাকা দেন!..... বস, প্লিজ বস!”

আমি অবাক হয়ে যাই গুলশানের রাস্তায় এই পুচকে “ভিক্ষুক” গুলোর কথা বলার ভাষা দেখে। দেখতে পুচকে হলে কি হবে?? এক্কেবারে professional ভিক্ষুক!! যেই রাস্তা দিয়ে বিদেশীদের আনাগোনা বেশি - সেখানে তারা নিজেদের vocabulary বদলে নিয়েছে। একটু মজাই লাগলো ওদের চেহারার সেই ভঙ্গি দেখে। বিদেশী দু’জনকে নিয়ে যাচ্ছে যে “রিক্সাওয়ালা”- সে আর সহ্য করতে পারলনা- “ঐ সর এইহান থেইকা!!”

বিদেশী দু’জনও একদম পরিপূর্ণ অবহেলা নিয়ে বসে থাকলো আর পুচকি দু’টোও ছাড়ছেনা বিদেশীদেরকে। এ দৃশ্য দেখে মন খারাপ হবে, নাকি মজা নিবে বুঝতে পারলামনা। আমাদের এই দেশ- বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হচ্ছে “বন্যা” আর “দারিদ্র্য”।


আর এই দৃশ্য এটাকেই প্রমাণ করে দিচ্ছে আরেকবার। আমাদের দেশতো অভাবী না। আল্লাহ অনেক কিছুই দিয়েছেন। কিন্তু সেটা হারিয়ে যাচ্ছে বা চলে যাচ্ছে “উদ্দেশ্যেহীন” ভাবেই। কবে আমার এদেশ সত্যিই স্বাধীন হবে? কবে আমরা দেশের প্রতিটা মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখাবো? Vocabulary এর পরিবর্তন হয়তো তখন অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হবে। বিদেশীদের কাছে হাত পাতার জন্য নয়।

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১০

“Yes, YOU! You answer the question!!”

...মেজাজটা এত্তো গরম হয়েছিল!!! বলার মত না। মাত্র ফার্স্ট সেমেস্টার শুরু হল- তখনও আমি মানুষের সামনে কথা বলা একদমই পছন্দ করি না, ক্লাসে প্রশ্নের উত্তর দেয়া তো দূরে থাক! সেখানে কেন এই স্যারটা ক্লাসের এত্তো ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বেছে বেছে আমাকে দাঁড়িয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে বললেন? দাঁড়ালাম ঠিকই, উত্তরটাও মাথায় আছে, কিন্তু মুখ থেকে কিছু বের হলোনা। ক্লাসের ৬৫ জোড়া চোখ আমার দিকে তাকানো – আর আমি দাড়িয়ে আছি ‘হা’ করে!! পাশ থেকে কে যেন ফিস ফিস করে উত্তরটা বলল, সাথে সাথে স্যারের আদেশ- “No, I asked her to answer. Let her speak up”. মেজাজ খারাপ এর সাথে সাথে মনটাও এবার বিরক্তি আর তিক্ততায় ভরে গেল। এটা কেমন কথা? এরকম টর্চার এর মানে কি? কোনরকমে মুখ থেকে কিছু একটা বের করে বসে গিয়েছিলাম। আর এইটুক মনে গেঁথে গিয়েছিল- এই স্যার আমাকে দেখতে পারেনা, নাহলে সবার সামনে এরকম হেনস্থা করার মানে দেখিনা…….

কিন্তু যতই দিন গড়িয়েছে, স্যার সম্পর্কে আমার মনে গেঁথে যাওয়া সেই ধারণাটি পুরোপুরি দূরে ছুড়ে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি আমি। IBA এর কালচারই হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের একদম পানিতে ফেলে দেয়া এবং এরপর বলা- “এবার সাতার শিখো”। ক্লাস প্রেসেন্টেশান এর সময় যারা কথা বলতে পারতোনা বেছে বেছে তাদেরকেই প্রশ্ন করতেন স্যাররা, আর যারা পারত তাদের অপেক্ষা করতে হত কখন তাদের সেই হতভাগা গ্রুপকে উদ্ধার করতে পারবে। আর স্যার ঠিক সেটাই করেছিলেন। ক্লাসে তখনকার সবচেয়ে কম কথা বলা ছেলে মেয়েদের মধ্যে একজন ছিলাম দেখে আমাকে জোর করে কথা বলানো আরকি। প্রথম দিন ক্লাসে এসে তিনি বলেছিলেন, “I have also studied here. So I know the tricks too. I know how we behaved when we were in class. The things haven't changed. I know everything, which teacher is known as what?” (প্রতিটা স্যার/ম্যাডামদের কোড-নেম থাকত, যে কোড তার নামের চেয়ে বেশি ব্যবহার হত. যার ফলে অনেক সময় কোনো কোনো স্যার এর আসল নাম বলে ফেললে ২ বার চিন্তা করে বের করতে হত কার কথা বলা হচ্ছে?)”……একজন স্যার এর মুখ থেকে এটা শুনে অবাক হয়েছিলাম; কি সুন্দর নির্দ্বিধায় বলে যাচ্ছে নিজেদের নামেই!!!

এরপর আরো দু’টো কোর্স করতে হয়েছে এই স্যার এর সাথেই। ততদিনে আল্লাহর অশেষ দয়ায় আমি আমার বোবাগিরী ছেড়ে দিয়েছি - ক্লাসে মুখ দিয়ে কথা বের করতে অতোটা কষ্ট হয়না। সেজন্য স্যারকে আর বলতে হয়নি – “Yes, YOU!!”

BBA এর শেষ সেমেস্টারে একটা কোর্স ছিল – “International Economics”, যে কোর্স অনেকেই নিয়েছিল কারণ স্যার নিবেন কোর্সটা। কোর্সে যে প্রজেক্ট দিয়েছিলেন সেটা ছিল IMF এবং World Bank এর উপর – “Critical Analysis on IMF/World Bank”. ঐ একটা কোর্স করে পুরোপুরি জানা হয়ে গেল - এই প্রতিষ্ঠানগুলো কতখানি বিতর্কিত পুরো দুনিয়া জুড়ে, কিন্তু সেটা চাপা থেকে যায়। ব্যবসা ও পণ্যকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করা শিখিয়েছিলেন ২ জন লেকচারার, স্যার তাদের মধ্যে একজন।

এক এক দিন এক এক গ্রুপ এর প্রেসেন্টেশান চলছে, স্যার ও দিয়ে যাচ্ছেন ওনার মন্তব্য। একদিন এক গ্রুপ - পুরাই ফাঁকিবাজী করে আগের এক কোর্সের কাজ copy-paste করে প্রেসেন্টেশান দিয়ে দিল। আমরা সবাই চুপ, স্যারও কিচ্ছু বললেন না প্রেসেন্টেশান এর সময়। সবকিছু যখন শেষ - তখন উনি শুধু ঐ গ্রুপ-লিডারকে বললেন, “Is this a joke you're playing with me? I never expected this from you. Can you give a valid reason why you did this?”…… স্যার এর গলা কোনোদিন উচু করতে হয়নি, ঠাণ্ডা মাথায়, ঠাণ্ডাভাবেই কথা গুলো বললেন। এরপর আর ঐ গ্রুপ এর ছাত্রদের চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছিলনা, লজ্জায় তারা স্যার কে কোনো উত্তর দেয়নি। পরে শুধু এটুক বলল আমাদেরকে, “স্যার এর সাথে কাজটা করা ঠিক হয়নি। অন্য কোনো স্যার এই কথাগুলো বললে কিছু যায় আসে না। কিন্তু এই স্যারের সাথেই হলো এটা!!” পরে অবশ্য অন্য একটা রিপোর্ট দিতে হয়েছিল তাদের। আমাদের প্রেসেন্টেশান এর সময় - পুরো multimedia system গ্যান্জাম করলো- প্রথমে প্রজেক্টর গেল বন্ধ হয়ে, তার কিছুক্ষণ পর কম্পিউটারও!! স্যারও নাছোড়বান্দা - কম্পিউটার ছাড়াই প্রেসেন্টেশান করতে হবে!!! গেলো! সারা রাত ধরে কষ্ট করে কাজ করা সব পানিতে গেলো তো গেলোই, তার মধ্যে স্লাইড না দেখে কি বলব?? শুরু করলাম কোনো গাইড ছাড়া। কোনো মতে গ্রুপের ৩ জন শেষ করার পর - স্যার এর মন্তব্য শুরু হলো।

আমার বেলায় যখন আসলো - ঐ মূহুর্ত আমি ভুলতে পারব কিনা জানিনা, তার কথাগুলো এখনো মাথায় গেঁথে আছে। “She has come far enough. I remember the first semester - she couldn’t speak up! This is the improvement I wanted to see. Now you can go anywhere and I will be confident that this is the type of people we would like to see going out there and speaking out to everyone. This is the confidence you need - you don't need the slide or paper. Thank you!”. আরো কি বলেছিলেন মনে নেই। কিন্তু একদম শুরুর দিকের সেই – “Yes, you! You answer the question!!”…… ঘটনার মাহাত্ম্য ঐদিন পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম, এখনো পারি। আমি এখন যেখানে আছি সেখানে আসতে, আল্লাহর রহমতে কিছু মানুষের কাছ থেকে শিখে আসতে হয়েছে। আর স্যার হলেন তাদের মধ্যে একজন।

স্যারকে গত ৬ মাস ধরে গৃহবন্দী করে রেখেছে সরকার, গতকাল রিমান্ডে নেয়া হয়েছে স্যারকে। এই দেশের নেতা-নেত্রীদের এমনিতেই বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মিডিয়া আমার কাছে ধুয়া মনে হয় অনেক আগে থেকেই, তারমধ্যে স্যার এর উপর যেই দোষারোপ দেয়া হচ্ছে - তা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবনা। স্যার এতো shallow-minded মানুষ না। আমি শুধু এইটুক দু’য়া করি- স্যার এর উপর যেন কোনো দুর্ভাগার হাত না পরে। আর যদি পরে, আল্লাহ যেন তার সুবিচার করেন। আমীন।

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০১০

My National Identity...

Written: 20 May 2008

ID’s are supposed to be "documents designed to verify aspects of a person's identity" and as Wikipedia goes "Bangladesh has also started a National Biometric ID Card system and is in the process of completing it by 2008". Owning a national ID card here in BD was a thing of pride– a national document bearing my representation on that small card space – a verification of who I am or what I am and a proof of my citizenship. Until - I actually got it in my hands!

If anyone in this wide world could find any similarity between what I am and what I was on that card, it would be a miracle! Every feature that Allah Almighty Has Placed on this face of mine was distorted out of proportion, was bloated like a handball and there it was – my ‘national identity’ – which looked more like Stuart Little rather than this person it was signifying!! Mom had her nose halved and Dad had his chin doubled. My grandfather (or dad’s father) was someone named Rafiquddin. Name, appearance, signature, family tree – if there was anything that could comprehensively misrepresent a citizen in terms of all– this seemed it.

Among some other national initiatives I hail this initiative taken by the government in issuing the cards. However, with more than 60 percent of the population already with their ID’s it would be interesting to find out how many actually are the ones those cards seem to represent. Identity or eligibility verification being the key meaning of this card – how secure am I going to be when I hold it out infront of the verifiers to cross-check with this true citizen? I am still waiting for the reaction.

Neighborhood

Written: 25 May 2008

Since I started working, I have kept away from a lot of everyday happenings that take place in and around home. When we were tiny kids, neighbors were part of everyday life - in terms of sharing, listening and caring. Starting from the older generation of grandmothers and then the mothers to the younger generation of us, everyone had someone in the neighborhood to speak and relate to. Anyone would term the experience as pleasant. It seems I should be missing my neighbors now as I come to work and keep away from home. But I don't - from where I live now.

The east-door neighbors -- its not that I regret that’s the biggest slum in the area. They have no place to go with their property sold off to make a living in this city and they have the right to live. However, I do regret their Bangla vocabulary. As the slum stretches over 3 plots of land, everyday their practice of this rich vocabulary starts early in the morning when they have to compete who's going to access the water first. And to add to this - the 'line of access' forms just infront of the room I and my little sister stay. I have no clue (and don’t intend to have) about the meanings of half of the words they use at each other. When it starts it never ends - after 10 minutes you will hear a small spat turning into 50 people brawling in that small space that can neither handle the force nor the sound and therefore spills all over the surrounding! The nights end similarly but on a different note or issue which is better not to elaborate on. And the recent developments in the electricity situation bring these practice sessions into limelight. At 12 AM, with no electricity to cool it down, I find myself staring at the ceiling with those sounds of 'the vocabulary' coming in through the window. All we can do is pray these people get guidance or be educated for the right words.

In the west - it’s a proper building and it's a teenager's room facing our window. Yes -a conventional teenager. Even shut windows cannot mute out the multinational rock & roll music shouting out to the world of its fan's existence!

In the south, there's something in between a slum and a building. So you get a cocktail of what goes on in the east and the west, literally. There is the brawl, the 'rich vocabulary' and the music as well. There are also the ladies sitting near the window analyzing and wondering what my brother does the whole day sitting infront of the PC inside his room! Lord Bless him.

The north door comes into play when we have our food. The sound of this neighbor is also neither muted nor private as it comes in through. The sounds have started coming in since it was born. We can trace it growing by the sounds it makes. First it was only the impatient crying, and then it was the gurgling sounds of laughter as his brother played around. Now we hear the father trying to make the little baby stand on his own. At times he crawls near the window and peeps out, calling out in unknown language and with the large eyes popping out in awe. With his hair sticking out in natural spikes, he holds the rails and shakes his body in some kind of rhythm. The tiny thing that he is and the small sounds that he makes take away all the unpleasantness coming in from the other three angles. Such a contrast and blessing - no wonder!

Hold My Hand

Artist: Maher Zain; Album: Thank You Allah; Lyrics: Bilal Hajji

I hear the flower’s kinda crying loud,

The breeze’s sound in sad,

Oh no

Tell me when did we become,

So cold and empty inside.

Lost a way long time ago

Did we really turn out blind

We don’t see that we keep hurting each other no

All we do is just fight.

---
Now we share the same bright sun,

The same round moon

Why don’t we share the same love

Tell me why not

Life is shorter than most have thought.
Hold my hand

There are many ways to do it right

Hold my hand

Turn around and see what we have left behind

Hold my hand my friend

We can save the good spirit of me and you

For another chance

And let’s pray for a beautiful world

A beautiful world I share with you.

---
Children seem like they’ve lost their smile

On the new blooded playgrounds

Oh no

How could we ignore , heartbreaking crying sounds

And we’re still going on

Like nobody really cares

And we just stopped feeling all the pain because

Like it’s a daily basic affair.

----
Now we share the same bright sun,

The same round moon

Why don’t we share the same love

Tell me why not

Life is shorter than most have thought
Hold my hand

There are many ways to do it right

Hold my hand

Turn around and see what we have left behind

Hold my hand my friend

We can save the good spirit of me and you

For another chance

And let’s pray for a beautiful world

A beautiful world I share with you.

---
No matter how far I might be

I’m always gonne be your neighbor

There’s only one small planet where to be

So I’m always gonna be your neighbor

We cannot hide, we can’t deny

That we’re always gonna be neighbors

You’re neighbor, my neighbor

We’re neighbors

---
So hold my hand

There are many ways to do it right

Hold my hand

Turn around and see what have left behind
So hold my hand

There are many ways to do it right

Hold my hand

Turn around and see what have left behind

Hold my hand my friend

We can save the good spirit of me and you

For another chance

And let’s pray for a beautiful world

A beautiful world I share with you.

---

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১০

"শিক্ষিত" সমাজ

সাত সকালেও এরকম ট্রাফিক জাম এর মধ্যে বসে আছি। বাসা থেকে ১/২ কি.মি.ও যায় নাই আমার বাহন কিন্তু ২০ মিনিট পার হয়ে গিয়েছে। বিরক্তিকর এই মুহূর্তটার উপর আরেকটু ঝাল লাগিয়ে দিল কর্কশ গলার সেই চিত্কার! 'শা......র বাচ্চা, কু....র বাচ্চা! তোকে যা করতে বলছি তাই কর”। চিত্কার এর মাত্রা ক্রমেই বাড়তে লাগলো; সেই সাথে গালির মাত্রাও। “আবার কথা কয়! একেবারে চটকানা দিয়া....বালতি ধৈরা নিয়া আয়....কাজ তুই যদি আমাকে না দেখাশ...” - এভাবে চলতেই থাকে । অকথ্য ভাষার আরো যে গালি ব্যবহার করছে তা আর লিখার মত না; আশে পাশের সব মানুষ ঘুরে তাকাচ্ছে । তারপর ও তার বিকার নাই। যাকে গালি দিচ্ছে তাকে দেখা যাচ্ছেনা। যেভাবে অনবরত এই পক্ষ তার কথা বলে যাচ্ছে - ওই পাশ থেকে কোনো আওআজ বের হচ্ছে নাকি সন্দেহ।

আর হ্যা, গালি দানকারী সেই “ভদ্র” লোক তার প্রাইভেট গাড়ির পিছনে বসা। সামনে তার ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে তাকে নিয়ে যাচ্ছে। একদম সাদা সেই গাড়ি। গাড়ি-র কোনো জায়গায় একটা আচর ও নেই- পুরাই আভিজাত্যের নমুনা বয়ে বেড়াচ্ছে। গাড়ি যতদুর যাচ্ছে - চারিপাশের লোকজন তাকাচ্ছে মাথা ঘুরিয়ে। নাহ, গাড়ি-র দিকে তাকাচ্ছে না। তাকাচ্ছে ওই “ভদ্র” লোকের দিকে। “ভদ্র” লোক তার মোবাইল হ্যান্ডসেট এ কথা বলছেন। ঠিক মত লক্ষ্য করলে হয়তো দেখা যেত দামী কোনো হ্যান্ডসেট। আর গাড়ির সামনের windshield বয়ে বেড়াচ্ছে এই “ভদ্রলোক” এর “উচ্চ-শিক্ষিত” হবার প্রমাণ – “এডভোকেট – সুপ্রিমকোর্ট”!

হায়রে আমার শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত সামাজিক জীবেরা- যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হতে শিখায় না- সেটা কিসের শিক্ষা? হবেই তো! যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে - হকিস্টিক আর রামদার সার্কাস দেখা স্বাভাবিক হয়ে যায়, যদি “ছাত্র” নামের কলঙ্করা অপরাধ করে পার পেয়ে যায় তাদের godfather এর ছত্র ছায়ায়, যদি খুন করা বা লাঞ্ছিত করার পরও তারা টিকে থাকতে পারে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ - সেখান থেকে এরকম “শিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত” এর নমুনা ছাড়া আর কি জন্ম নিবে? এরপরও আমাদের দেশে নাকি ধর্মের কোনো শিক্ষার স্থান থাকবে না। আমি চিন্তাও করতে চাচ্ছিনা - সেই নৈতিকতাহীন শিক্ষা ব্যবস্থার কথা। তখন কি জন্ম নিবে? মানুষ না পশু? নাহ, পশুরাও তো তাদের সৃষ্টিকর্তার নিয়ম মানে!

শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০

আমাদের যারা টেনে চলেছে ঢাকার রাস্তায়....

১. "I know, my friends..."

ঘটনাটা বেশ আগের। তখন O-level পরীক্ষার জন্য কোচিং করছি হরদম। Physics পড়তে যেতাম গ্রীনরোড-এ এক স্যারের কাছে। বাসা থেকে রিকশা করে যেতে ১০ থেকে ১২ টাকা লাগত। ১০ এর নিচে কেউ দাবি ও করত না। মাঝে মাঝে উর্ধ্বে ১৫ টাকা চেয়ে বসত “রিকশাওয়ালা” ভাইয়েরা।

যাই হোক - ঠিক এরকম এক বিকেলে আমরা দু’ ভাই বোন রিকশা ভাড়া করছিলাম। একজন রাজি হলো গ্রীনরোড যেতে - লম্বা, মধ্যবয়সী, পাতলা সাদা শার্ট এবং লুঙ্গি পড়া। ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে নির্দ্বিধায় বলে ফেলল “আট টাকা”। আমরা তখন অবাক হয়ে তাকে বললাম “আপনি চিনেন তো?”। সে বলল, “হ্যাঁ, চিনি”। উঠে গেলাম। কিছুদূর যাবার পর আমরা নিজেরা কথা বলতে লাগলাম ইংরেজিতে, যাতে আমাদের রিকশাওয়ালা ভাই না বোঝে। এক পর্যায় গিয়ে বললাম 'For sure - he doesn't know the place. Why will he ask for 8?' ব্যাস! সাথে সাথে সে বলে উঠলো 'I know, my friends. I know the place - believe me. You may not get how I speak English. I am pulling a rickshaw - that is my luck.' ততক্ষণে আমাদের চোখ কপালে আর লজ্জায় মাথা নিচু। কিছু বলার মত সাহস বা মানসিকতা - সব চলে গিয়েছে। সে কথা বলেই চলল। 'I have stayed in Saudi Arabia, Kuwait and other countries. It is my luck. It is not that I cannot read or write. I have lost everything. Now I am taking you in this rickshaw - as you can see...'. (আমি এখানে একটুও বাড়িয়ে বলছি না!)

এরপরও সে আরো কথা বলে চলেছিল ইংরেজিতে। কিন্তু আমার শুধু এটুকুই মনে আছে। এখন খুব ইচ্ছে হয় জানতে যে এরকম একজন মানুষ কিভাবে সেদিন রিকশা করে আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছিল? কিন্তু ঐদিন একটুও ইচ্ছে করেনি - কারণ আমরা তাকে ইংরেজিতে মূর্খই ভেবেছিলাম। এবং সে সেটা বুঝেই ওভাবে আমাদেরকে উত্তর দিয়েছিল। আমরা নেমে গিয়ে তাকে ১২ টাকা দিয়েই চলে গিয়েছিলাম। পিছে আর তাকিয়ে দেখিনি - লজ্জায়। কিন্তু এখন মনে হই আমরা সেই লজ্জা এখনো বয়েই বেড়াচ্ছি সামাজিকভাবে। আর এরকম আরো মানুষ আমাদেরকে রাস্তায় টেনেই চলেছে।

২. 'আস্সা, যাই'

যেই গরম পড়েছে। এখনো বৈশাখ মাস আসেনি - আসলে না যেন কি হবে! বাইরে বেরোলেই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে আর হাত পা মনে হচ্ছে পুড়েই গেল। তাও সে দুপুর ১২:৩০ - সূর্যটা একদম পূর্ণভাবেই ছড়িয়ে চলেছে তার তাপদাহ! আমাকে টেনে নিয়ে চলেছে যে “রিকশাওয়ালা”, বয়স তার ৩০-৪০ এর মধ্যে। মাথার চুল সব ফেলে দিয়েছে - গরমেই - মনে হলো। সে কিচ্ছুক্ষণ পর পর হাপাচ্ছে। রাস্তায় এক জায়গায় রিকশা থামিয়ে সে দেখলাম পানি খেল। আবার টানা শুরু করলো রিকশা। সারা রাস্তা তো আর চেহারা দেখতে পাইনি। বাসার সামনে নেমে দেখলাম - চেহারা পুরোপুরি লাল হয়ে গিয়েছে। খেয়াল করলাম তার হাপানোর অবস্থা স্বাভাবিক না। কিন্তু আমি ডাক্তারও না - জিজ্ঞেস করে সমাধান তো দিতে পারবোনা। ভাড়া দেবার সময় তার ইতস্থতভাব। কিছু জিজ্ঞেস করতে যাব - তার আগেই সে বলল, “আফা, একটু পানি হইব?” পানি - যে জিনিস দিতে কোনো শ্রম, টাকা কিছুই লাগেনা - সে জিনিস চাইতেও তাদের সেই পরিচিত ইতস্ততা। “আফা, যদি ঠান্ডা হয় - তয়লে একটু বেশি দিয়েন” - বড় একটা হাসি দিয়ে বলল।

পানি নিয়ে নীচে নামতে নামতে দেখি - বাসার সামনে থেকে তাকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। অপরিচিত এক “রিকশাওয়ালা” গেট এর সামনে বসে আছে - এটা দেখেও কিছু লোক বিরক্ত হলো। “এরকম করে বসার জায়গা নাকি বিল্ডিং এর সামনে? তাও আবার সে পা ছড়িয়ে বসে আছে!”, ২জন একসাথে বলে উঠলো। গেট দিয়ে বের হতে হতে দেখি সে রিকশা নিয়ে চলে যাচ্ছে। পানির কথা মনে হই ভুলেই গিয়েছে ভয়ে। যখন পানি নিয়ে সে রিকশা চালিয়ে চলে যাচ্ছিল - পুরা ছোট বাচ্চাদের মত হাত নাড়াতে নাড়াতে চলল - আর বলল “আস্সা, যাই”।

এখন তার হাপানি কি অবস্থায় আছে কে জানে? চিকিত্সার জন্য কতই বা খরচের ভয়ে এরা ক্লিনিক এ যেতে পারেনা? এরা সমাজ এ তাড়ানোর অবস্থাতেই বেচে আছে। কিন্তু তাও এরা আমাদের টেনেই চলেছে ঢাকার রাস্তায়!

৩. 'একটু জায়গা দেবার যাইবো?'

রমজান মাস। একদম আসর এর সময় আমি ধানমন্ডি থেকে বাসায় ফিরছি। যেই রিকশায় ফিরছিলাম - 'রিকশাওয়ালা' একদম বৃদ্ধ। সাদা চুল, সাদা দাড়ি। বয়স এর ভারে কুজো হয়ে গিয়েছে। তারপরও কষ্ট করে টেনে চলেছে এই রিকশা নামের বাহনকে - আমাকে নিয়ে। এক পা দিয়ে pedal টা খুব জোড় দিয়ে নীচে নামাচ্ছে - যখন তার পুরো শরীর এর ভার ওই পায়ের উপড় পরছে - অন্য পা টা তারপর ফেলছে অন্য pedal টা চালাতে। ধানমন্ডি থেকে মোহাম্মদপুর - এরকম কয়শত বার পা ফেলেছে কে জানে! সারাটা রাস্তা এভাবেই নিয়ে আসলো।

বাসার সামনে এসে তাকে যখন ভাড়া দিতে যাব তখন সে আমার দিকে তাকালো। কিছু একটা বলতে গিয়েও - সংকোচে বলতে পারছে না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “ভাড়া ঠিক আছে?”। তখন সে বলল “হ, ঠিকই আছে”। কিছুক্ষণ পর সে আবার তাকালো আর তখন খুব সাহস নিয়ে বলল “আফা, এই বাসা কি আপনাগো?”। আমি বললাম “হ্যাঁ, কেন?” সে তখন আরেকটু ইতস্তত করে বলল, “আফা, এট্টু জায়গা দেবার যাইবো?”। আমি তো বুঝলাম না। কিসের জায়গা চাচ্ছে? তখন সে আবার বলল “আফা যদি অল্প এট্টু জায়গা দিতেন কয়টা মিনিট এর জন্য, আমি এট্টু আসর এর নামাজ টা পড়তাম। সময় আর থাকত না বাসায় পৌসাইয়া”। আল্লাহু আকবার! তখন মনে হচ্ছিল, আল্লাহ মনে হয় এসব অভাবী লোকদের কথাই বলেছেন - যারা বিনা হিসেবে বেহেশতে চলে যাবে! কারণ আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়াতে অনেক অল্প দিয়েছেন, অভাবে রেখেছেন - কিন্তু সবচেয়ে মূল্যবান ঈমান টা দিয়েছেন। এই ২টার জোট হয়তো তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে - শিক্ষার অভাবে সে হইতো সেটা জানেও না। তার নামাজ পড়া দেখলাম অল্পক্ষণ দূর থেকে দাড়িয়ে। কি শান্তিতে সে নামাজ পড়ল - ধীরে ধীরে, একদম একাত্বতার সাথে।

আমরা যারা ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে বলতে যাই, তখন কয়জন এদের কথা মাথায় রাখি? আমরা এদের কাছে কেন এগিয়ে যাইনা - যেখানে তারা এক পায়ে দাড়িয়ে আছে শুনে এবং মেনে নেবার জন্য? অথচ কোরআন এর সব জায়গায় এসব মিসকীনদের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন আল্লাহ। আসলেই - অবহেলীত মানে সব দিকেই অবহেলীত!

========================================================

“আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচার দিবসকে মিথ্যা বলে? সেই তো ব্যক্তি, যে এতিমকে গলা ধাক্কা দেয়। এবং মিসকীন কে অন্ন দিতে উত্সাহিত করেনা। অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর যারা তাদের নামাজ সম্মন্ধে বেখবর। যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে। এবং নিত্য ব্যবহার্য বস্তু অন্যকে দেয়না”। [সূরাহ মাঊন]

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১০

Ramadan - Perception

I had sat down to write the following during last Ramadan. I am waiting to see the Lifestyle magazine of the newspaper this Ramadan and understand whether the those editors are still the idiots they were last time!

Ramadan - the first thing that would pop into my mind would be - My Lord, Islam, Restraint & Soberness. If I draw the 'schematic memory diagram' (as marketing would put it) -- that would in turn lead to phrases like 'being more religious', 'trying to mould yourself into the frame of Islam', 'refraining from sins', 'thinking about the ones who are starving', 'giving in charity, 'repenting for all the wrong', etc, etc.


Just point out to me if I'm wrong - but that would be the perception of most people around - wouldn't it? Or, putting it better, that would be for people who would know what Ramadan is? And AlhamduliLlah - I guess majority of the people in my country would see it that way.

Marketing focuses so much on customer perception, and how they see things and how they would like to see things and how does it relate to the persona of the customer and so on and so forth. The reason I've started off with all those marketing jargons in this note -- is that I'm trying very hard to relate something that caught my eye this week.

I'm still trying to identify which segment of our market (Bangladesh) would relate Ramadan with the following so very un-related elements - a heavily made-up woman's face from the side, a hair-bun with a red flower, and most significantly of all a red 'tip' (bindi -- yes the round signatures that some ladies put on their foreheads)! Which marketing expert would bring out these 'attributes' of such a holy month?? The biggest failure a media marketeer could face is not knowing what product or service he/she is presenting to the market. It would not even be considered a mistake in this worldly sense! That would be considered as something which would disqualify him/her!

At least whoever made that impression of a lady with a red flower on her hair-bun as a sign of Ramadan-- did one of the most distasteful thing I've come across in my life! You just don't put up such a lady with a seemingly 'calm' expression on her face as the sign of tranquility of Ramadan. If you're doing that, either you don't realise the weight of this holy month or you're mocking the value put into this month by the Lord of the Universe (Who is by the way the Owner of the Brand). If you're doing the former- you're absolutely dumb as both a marketeer and an educated person. If you're doing the latter - you dont know what you're upto.

And how on earth can you put a red bindi (and a very distinctive one which would ensemble something so very opposite) and say it's an attribute of the holy month? Is this some sort of a joke or something? I just can't bring myself to the belief that those people did it out of ignorance. Reporters (yes, it was in a print media) keep themselves very 'englightened' about a wide variety of things and 'Lifestyles'. And this is something so common -- that it would need a second thought to put it the way it was.

We all know that some TV channels have their anchors putting a small part of their saree over their heads as soon as the moon of Ramadan is sighted. We know it's wrong to drop it off again when the moon of Eid is sighted. But at least they associate some sort of significance to the holyness of this blessed month. Yet - this high, mighty and walking-with- their-heads-over-the-clouds media tries to bring out this demeaning image of this month! Lord Save us.

If this group of 'experts' are trying out new things -- they should try with things they have invented entirely or something which is their own property. It's insane to try to modify something which doesn't belong to oneself and try to re-brand it according to one's liking. You see - you're just not the owner of the brand and you're definitely not setting up the marketing campaign for it!

Ramadan is an established brand. It's a brand of the Almighty. It has a defined set of brand attributes. It has its own schematic memory diagram. It has a defined set of offering. The true customers of Ramadan - ones who know and use the product really well and very truly loyal to it - will just throw away what these 'experts' are trying to protray. The 'experts' are breaching the customers' sense of loyalty. And they're definitely breaching their own responsibility. To these brand 'experts' - If you can't do it right - just keep yourself away from it! We don't need your campaign for us to re-think what Ramadan is. The ones who are trying to preach it correctly in it true sense - are the brand ambassadors!
As the following Ayats and hadith state - Guidance, Taqwa (Restraint, Piety or Fearness of Allah) and Forgiveness are some of the brand attributes defined by the Owner (Allah Subhanahu Wa Ta'Ala) of the brand (Ramadan). Each one of us should try to stick to this brand value. We could then become brands ourselves :-)! May Allah Give us the capacity. Ameen.
===================================================================================
“The month of Ramadhaan in which was revealed the Qur’an, a guidance for mankind and clear proofs for the guidance and the criterion (between right and wrong). So whoever of you sights (the crescent on the first night of) the month (of Ramadhaan i.e. is present at his home), he must observe Sawm (fasts) thatmonth…”[al-Baqarah 2:185]

“O you who believe, fasting is prescribed for you as it has been prescribed for those who were before you that you may learn self-restraint.…”[al-Baqarah 2:183]"

Abu Hurayrah (may Allaah be pleased with him) said: The Messenger of Allaah sallAllaahu`alayhi wa sallam said: “Whoever spends Laylat al-Qadr [in the month of Ramadhaan] in prayer out of faith and in the hope of reward, will be forgiven his previous sins.” Narrated by al-Bukhaari, 1910; Muslim, 760.

Sigh!

It’s been sometime that I wanted to write this note. However, what kept me away every time is that – why would I bother with these issues? Why would I allow myself to be labeled (by ‘labelers’) as supporter or non-supporter of a certain section of the society? There would be issues I don’t understand and complexities that I won’t comprehend. But as days go by with the situation that’s being created around– I am simply awed at the injustice that a so called democratic country can handle.

Allah Does Not Help a nation who doesn’t help themselves. There are some inherent characteristics that I can see with us (yes we are Bangladeshis – not bangalis. If anyone can claim and feel proud of independence of Bangladesh – and then go on saying Bangla/Bangalis instead of Bangladesh – then that’s utterly hypocritical!):

#1. We bear with lies and don’t use our sense of judging between right & wrong. Allah Has distinguished humans from animals on this very aspect! However, we failed to remain at that level – and stooped to the lowest. Allah Says in the Qur’an: “Surely We created man in the best mould; then We reverted him to the lowest of the low, except those who have faith and do righteous deeds. Theirs is a never ending reward.” [Surah At-Tin: V.4-6].

We have allowed ourselves to be directed by lies. We have not studied (from the right sources) about our roots and our duties. We have forgotten to use our minds and screen information – to come to the right conclusion. We are depending on the media and the most publicized statements to conclude for us. We have become absolute zombies and more than anyone else in this world – we will be the most easily perusable people for propaganda. Even the most educated segment of this society depends on liar leaders of the country to rule their minds.

It’s become absolutely impossible for me to understand (maybe I’m not at that intellectual level) – why people of this country bear with all the crap & lie that’s inserted into their minds and carry that crap & lie with them. Then they start propagating those crap & lie to people around them. I also salute the ones who are bearing with all the crap that’s being imposed on them and May Allah Forgive them.

#2. We have learnt to live with division in society. And the present leaders of this country are becoming a catalyst to the process. How can one claim to the sole owners of independence? The rest of the people of this country were what? Every inch of land of this country has its own debt to pay to even the lowest segments of society (after our Lord) in some way or the other. Can we not keep this small issue in mind?

How can a group label another group as perpetrators and get away with it? (Yes, some people will smell rat here but I don’t care. For those who smell rat, FYI - I’ve never enrolled myself into any political party). Which nation on the face of this earth bears with such stigma? Except the extreme of the extremists, no one can come into terms with the fact that – someone will be stripped of all rights of a citizen just because he/she doesn’t belong to your ideology (if there is any ideology in that!). How can anyone claim the right to kill or persecute just because a person doesn’t belong to a specific group? How can anyone deny the contribution of hundreds of people who have done so much for society? Yes, and that’s what’s going on and we’re learning to live with! May Allah Forgive us.

#3. We have learnt to bear with co-branding anyone following Islam with Extremist, Perpetrators, Hard-liners and Anti-Nation. This is in direct correlation with above #1 & #2. People dare to call out ‘rajakar’ or ‘hujur’ or ‘mollah’ or ‘rog-kata’ (btw, cutting tendons is not that easy a task – let alone branding with it!) to anyone with either a burkha & Niqab or with a beard, whichever applies! I am sorry – but which religion does that stupid caller belong to?

Anything to do with Islam is being negatively branded by the honorable leaders of this country. And we stay mum. If Prophet Muhammad (SA) was standing here where we stand – and no one knew he was the Prophet (SA) himself – they would call out to him in the same way (AstaghfiruLlah). That’s because the practicing Muslims of this time try to resemble him in appearance and try to follow his foot-steps in whatever they do – whether its personal life, economical life, political life or cultural life. I am sure our Prophet (SA) would have a group which would have ‘Islam’ in it and he wasn’t an inactive person who would not want to spread to the society (Duh! He’s was Sent to spread it). What sort of hypocrites have we become that we tend to call ourselves Muslims – and then allow this sort of brand to imprint in our minds? How will we be answerable to Allah?

Any person/group with Islam in their name/stance has been made criminals in this country. However, if we try to judge from a very neutral perspective – have we seen a person, truly religiously dedicated, do more wrong than right? I’ve seen people from such groups (FYI, to those who smell rat again – I have not enrolled myself as member or supporter of any political party). Whether it was in due course of my educational, professional or personal life – I’ve seen them to do more right than wrong. Then why are we allowing this to control our minds? There are brothers and sisters of our country– at this very moment – who are being persecuted for the very reason that they belong to certain groups. They are running from here to there – and it’s not pleasant listening to their experience! There’s a limit to everyone’s patience. On a more psychological perspective – even if one of them (among the hundreds) has his/her patience barrier broken down– does this country know how it will deal with prospects of future-extremism stemming from this sort of persecution? May Allah Grant the ones persecuted -patience at the highest level.

#4. We’ve learned to accept ‘committing crimes and blaming others’. We have forgotten to stand out for the right. We are never fair with the actual criminals of this country. We have learnt to forgive the criminal acts going on infront of our very eyes and accepting the blame-games. This country has become the powerhouse of slander, the powerhouse of fraud and the powerhouse of blame-games. All three can be summed into one word – lies (#1). Combined with the above #1, #2 & #3 – we are one heck of a country! How can a country stand as a nation with this attribute? It seems the education level of this country is going up. So is the GDP growth. The lifestyle is changing and we are ‘developing’. However, what’s the use? We are so proud of our independence – but as human beings (let alone Muslims) where have we reached? The lowest of the low! We are that incapable? We have failed our intellects and our sense of judgment.

We have failed this nation and the people of this country who are striving for a better society. Most important of all – we have failed to be the best of creations. What have we done in our short life-span if we are guilty of one or all of the above characteristics? May Allah Help us revert to the right path.
-------------------------------------------------------------------------------------------------

Shahr bin Haushab (Allah be pleased with him) relates that he asked Hadhrat Umm-Salamah (Allah be pleased with her): O Ummul-Mu’mineen (Mother of the Believers)! What was the supplication made most often by the Messenger of Allah (SAW) when he used to be in your house? She said: He most often used to supplicate: Ya muqallib al Quloob, thabbit qalbee alaa deenik (O turner of the hearts, establish my heart upon your deen). Ameen.